Sunday, December 17, 2017

যৌবন ধরে রাখতে চাইলে এই ফল টি খেতে ভুলবেন না যেন

আতা গাছ বাংলাদেশ ও ভারতে বসতবাড়ীর আঙিনায় এবং বনে-জঙ্গলে জন্মে থাকে। তবে থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়ে থাকে। গাছের আকার খুব বড় নয়, উচ্চতায় ৩ থেকে ৫ মিটার। শীতকালে এর পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়, ফুল ধরে।

 পাতার আকৃতি বল্লমের মতো, অগ্রভাগ সরু। এর ফুল দেখতে কাঁঠালী চাঁপার মতো যার রঙ হালকা সবুজ থেকে সবুজাভ হলুদ হয়ে থাকে। কাঁচা ফল খাওয়া যায় না। বেলে দো-আঁশ মাটিতে আতা গাছ ভাল জন্মে। বীজ থেকে এর চারা করা হয়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ফুল ধরে এবং ৪/৫ মাসের মধ্যে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফল পেকে যায়।


আতাফল হৃৎপিন্ড আকৃতির হয়ে থাকে। আতা ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের উপস্থিতি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম, হজমের জন্য ফসফরাস, শরীরের ডিএনএ এবং আরএনএ সংশ্লেষণ ও শক্তি উত্পাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ অকরে থাকে। ফলে এটি শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারি।


প্রতি ১০০ গ্রাম আতা থেকে যে পরিমাণ পুষ্টি মূল্য পাওয়া যায় তা হলো: শর্করা 25 গ্রাম, পানি 71.5 গ্রাম, প্রোটিন 1.7 গ্রা্‌ ভিটামিন এ 33 IU, ভিটামিন সি 192 মিলিগ্রাম, থিয়ামিন 0.1 মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন 0.1 মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান 0.5 মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড 0.1 মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম 30 মিলিগ্রাম, আয়রন 0.7 মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম 18 মিলিগ্রাম, ফসফরাস 21 মিলিগ্রা, পটাসিয়াম 382 মিলিগ্রাম, সোডিয়াম 4 মিলিগ্রাম। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাদ্যোপদান রয়েছে।

পাকা আতার শাঁস মিস্টি হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় জিভে চিনির মতো মিহি দানা দানা লাগে। এর কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে। যেমন পাকা আতার শাঁস বলকারক, বাত-পিত্তনাশক ও বমনরোধক।

যৌবন ফিরে পান লজ্জাবতী গাছে

লজ্জাবতী লতার সমগ্র উদ্ভিদ ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর আছে অনেক ঔষধি গুণ। ধারাবাহিক ভাবে তা আলোচনা করা হলো :

1. মিথুন দন্ডের শৈথিল্য:
লজ্জাবতীর বীজ দিয়ে তৈরি তেল লাগিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করলে তা দৃড় হয়।

2. যৌনি ক্ষতে :
যে কোন কারনে যনিপথে ক্ষত হলে, প্রথমিক স্তরে মাঝে মাঝে অথবা প্রায় রোজই অল্প স্রাব চলতে থাকে, একটা আশটে গন্ধ, কখনো বা একটু লালচে স্রাব হয়, এসব ক্ষেত্রে ‍চিকিৎসক সাবধান করে থাকেন, এটি পরিণামে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে ।এক্ষেত্রে দুধ-জলে ‍সিদ্ধ করা লজ্জাবতীর কাথ দিনে ২ বার খেলে এ রোগ উপশম হয়। একই সাথে লজ্জাবতীর ক্বাথ দিয়ে ডুশ দিলে বা যোনিপথ ধুলে তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায়।

3. আঁধার যোনি ক্ষতে :
এ বিচিত্র রোগটি কৃষ্ণপক্ষে বেড়ে যায় আর শুক্লপক্ষে শুকাতে থাকে । এ ক্ষতটি হয় সাধারণত : হাটুর নিচে আর না হয় কুঁচকির দু’ধারে। এক্ষেত্রে গাছও পাতা ( মূল বাদে ) ১০ গ্রাম শুধু জল দিয়ে ক্বাথ করে খেতে হয় এবং ঐ ক্বাথ দিয়ে মুছতে হয়, ফলে অসুবিধা দুর হয়।

4. রমনে অতৃপ্তি :
কয়েকটি সন্তান হওয়ার পর প্রসবদ্বারের শৈথিল্য হয়েছে , সেটার অনেকটা মেরামত করে দিয়ে থাকে এ লজ্জাবতীর ক্বাথের ডুশ নেওয়ায়, আর গাছের পাতা সিদ্ধ ক্বাথ দিয়ে তৈরি তেলে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পিচুধারণ কারালে ( Vaginal plugging ) এছাড়া অন্ডকোষের পানি জমা সারাতে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।

5. আমাশয় :
অনেকের আছে পুরানো আমাশয় । মল ত্যাগের বেগ হলে আর অপেক্ষা করতে পারে না । গিয়ে প্রথমে যা হল তারপর আর হতে চায় না ।আবার অনেকের শক্ত মলের গায়ে সাদা সাদা আম জড়ানো থাকে। এক্ষেত্রে ১০ গ্রাম লজ্জাবতীর ডাঁটা ও পাতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এ ক্বাথ খেলে তারা অবশ্যই উপকার পাবেন।

6. দুর্গন্ধ দুর করতে :
অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং জামায় বা গেঞ্জিতে হলদে দাগ লাগে, এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মুছতে হবে বা লাগাতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দুর হবে।

7. কোষ্ঠকাঠিন্য :
অনেকের মল গুলটে হয়ে যায়, বুলেটের মত কয়েকটা বের হয়, আর কিছুই নেই। এক্ষেত্রে মূল ৭ / ৮ গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং ছেঁকে ঐ পানিটা খেতে হবে । তাহলে উপকার হবে।

যৌন দুবর্লতার হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ

রাস্তাঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যেসব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যে কারো এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক যে আমাদের দেশে পুরুষদের যৌন দুবর্লতার সমস্যা একটু বেশী।
আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে যৌন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটি সত্য। অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌনরোগেরও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে।

হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি ; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে।

আবার নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌনশক্তি মাত্রাতিরিক্ত থাকতে পারে এবং অনেকে সময়মতো বিবাহ করতে না পারার কারণে অথবা অকালে স্ত্রীর মৃত্যু-তালাক-বিধবা হওয়ার কারণে তাদের যৌন চাহিদা পূরণ করতে পারেন না এবং এই সমস্যা নিয়ে তারা বিপদে পড়েন। এসব ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধের মাধ্যমে কিছুদিনের জন্য যৌনশক্তি কমিয়ে রাখা যায় এবং এতে আপনার শরীরের বা যৌনশক্তির কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।

Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Agnus Castus:
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Sabal serrulata:
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Conium:
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।

Calcarea Carbonica:
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum:
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica:
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Titanium:
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।

Phosphoricum Acidum:
সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।

Kali Bromatum:
বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।

বায়োকেমিক ----

Natrum Mur:
স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।

Kali Phos:
অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা,কাজ কর্মে অনিচ্ছা,জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।

Silicea:
স্বপ্নদোষ,হস্তমৈথুন,অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য।

টুথপেস্ট দিয়ে ৮টি সমস্যার সমাধান ৩ নাম্বার টি জানলে অবাক হবেন


যদি বলা হয় টুথপেস্ট দিয়ে আপনি কি কি করতে পারেন? প্রশ্নটি শুনে অনেকেই হয়তো ভ্রু কুঁচকে উত্তর দেবেন, টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা ছাড়া আর কি করা যেতে পারে? কিন্তু শুধুমাত্র এই টুথপেস্ট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন টুথপেস্ট দিয়ে কি করা যাবে? তাহলে জেনে নিন টুথপেস্টের দারুণ কিছু ব্যবহার যা দূর করবে দৈনন্দিন কিছু সমস্যা।

কাঠের আসবাব থেকে মার্কারের দাগ তুলতে :
পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তোলার মতো কঠিন কিছুই নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত দাগ লেগে গেলে তা তোলা অনেক ঝামেলার। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে টুথপেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড দিয়ে ঘষে তুলে নিন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।

হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে :
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাত দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ভালো করে সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ যায় না। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতে টুথপেস্ট মাখিয়ে নিন ভালো করে। এবং সাবানের মতোই ব্যবহার করে হাত ধুয়ে নিন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো হাতের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

সাদা জুতো চকচকে করতে :
অনেকেই শখ করে সাদা জুতো পরেন, আবার অনেকের পছন্দ সাদা লাইনিং দেয়া স্নিকার্স। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাদা জুতো বা স্নিকার্সের লাইনিং কিছুদিনের মধ্যেই ময়লায় কালচে হয়ে যায়। এক কাজ করুন। একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে টুথপেস্ট ঘষে নিন সাদা অংশে। ব্যস, একেবারেই নতুনের মতো সাদা হয়ে যাবে।

কাপড়ের দাগ তুলতে :
অনেক সময় কাপড়ের দাগ জেদি হয়ে বসে যায় যা কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে তোলা যায় না। এই সমস্যার সমাধানও করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে পুরু করে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ভেজা একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে নিন। এরপর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ গায়েব।

ইস্ত্রি পরিষ্কার করতে :
দীর্ঘদিনের ব্যবহার এবং কাপর পুড়ে গেলে ইস্ত্রি নোংরা হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে টুথপেস্ট। পুরো ইস্ত্রিতে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিয়ে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে নিন। চকচকে পরিষ্কার হয়ে যাবে ইস্ত্রি।

নখের হলদেটে ভাব ও ময়লা দূর করতে :
নখ হলদেটে হয় থাকলে এবং ময়লা দেখালে একটু বিশ্রীই লাগে। কিন্তু নখের এই হলদেটে ভাবও নিমেষে দূর করে দিতে পারে টুথপেস্ট। নখে টুথপেস্ট লাগিয়ে একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে নখ পরিষ্কার করে নিন। দারুন ফল পাবেন।

পুরনো সিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে :
পুরনো সিডিতে স্ক্র্যাচ পড়া থাকলে সিডি চালানো সম্ভব হয় না। এই সমস্যার সমাধান করতে টুথপেস্ট ঘষে নিন সিডিতে স্ক্র্যাচ অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। এমনকি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের ছোট স্ক্র্যাচ, বাথরুমের কাচ ও গ্লাস, সানগ্লাসের দাগও দূর করতে পারেন একই পদ্ধতিতে।

ব্রণ দূর করতে :
ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন? একরাতের মধ্যেই ব্রনের লালচে ও ফোলাভাব দূর করে দিতে ব্রণের উপরে রাতে একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে দেখুন ম্যাজিক।

মেদ কমান যৌন মিলনসহ আরো ৬টি উপায়ে

বাড়তি মেদ নিয়ে অনেকেই মহা দুশ্চিন্তায় আছেন। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া না কমিয়ে, অর্থাৎ ‘ডায়েট’ না করেও মেদ কমানো যায়।তাহলে দেরি কেন? মেদ কমান আর মেদ কমানোর দারুণ ৬ উপায় জেনে নিন।

১/ যৌন মিলন –
ডায়েট না করে মেদ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল যৌন মিলন। একবারের পরিপূর্ণ যৌন মিলনে ৮০ থেকে ৩৫০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হয়।

২/ চুমুও মহৌষধ –
এক মিনিট চুমু খেলে শরীর থেকে ২০ ক্যালরির মতো চর্বি ধ্বংস হয়। পুরুষরা যখন চুমু খায় তখন তাদের মুখমণ্ডলের ৩৮টি পেশির সংকোচন-প্রসারন হয়। বলতে পারেন মুখের ব্যায়ামও হয় তখন।

৩/ নিয়মিত ঘরের কাজ করুন –
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ঘরের সাধারণ কাজগুলো করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা, বিছানার চাদর বদলানো- এ ধরণের কাজগুলো করলেও মেদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ তো করা যায়ই, এমনকি মেদও কমানো যায়।

৪/ মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন –
খাবারে যত কম মশলা থাকবে ততই ভালো। মশলায় যে অ্যালকালয়েড থাকে তা মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই মশলাযুক্ত খাবার যত ভালোই লাগুক, মেদ কমাতে চাইলে সেরকম খাবার কম খাওয়াই উত্তম। তবে মরিচ এবং দারুচিনির উপকার আছে। এগুলো রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। দারুচিনি তো মেদও কমায়।

৫/ বাস, ট্রেন, ট্রামে চড়ুন –
এসি লাগানো গাড়িতে বসে কর্মস্থলে যেতে খুব আরাম, তবে তাতে কিন্তু মেদ বাড়ে। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতের ধকল সহ্য করুন দেখবেন তাতেও মেদ খুব একটা বাড়ছেনা। দৌড়ে বাস, ট্রেন ধরার মতো প্রাত্যহিক ধকল দিনে ৩০ মিনিট সহ্য করলে নাকি ২৭০ ক্যালরি মেদ ক্ষয় হয়।

৬/ হরর মুভি দেখুন –
ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, হরর মুভি বা ভৌতিক ছবি দেখলেও নাকি মেদ কমে। তাঁরা বলছেন, একটা ভৌতিক ছবি দেখলে ১৩৩ ক্যালরি মেদ ধ্বংস হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ভীতিকর দৃশ্য দেখার সময় শরীর থেকে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরন বেড়ে যায়। এ প্রক্রিয়ায় চর্বিও গলে যায়।

আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন সমস্যার জন্য এখানে কমেন্ট করে জানান।তাছাড়া অপনারা কোন ধরণের পোষ্ট চান তাও জানাতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ

মাসিক শেষে সেক্স করলে কি প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?


মেয়েরা একটা পরিপূর্ণ বয়সে পদার্পন করলে মাসিক শুরু হয়। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের অথ্যাৎ লবণাক্ত অঞ্চলের মেয়েদের মাসিক তাড়াতাড়ি শুরু হয়।পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মেয়েদের শরীর কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তবে পিরিয়ডের সময় রক্ত ক্ষরণ হয়, এটি দূষিত রক্ত।


মেয়েদের মাসিকের সময়ে যৌন মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না, তবে এই সময়ে শারীরিক মিলন বা সেক্স থেকে বিরত থাকাই ভালো। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে জানা যায় পিরিয়ড হওয়ার ৭ দিন আগে ও পরের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে এবং এর মাঝামাঝি সময়গুলোতে গর্ভ ধারণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে।

সেক্স এর সময় কনডম ফেঁটে গেলে কি করবেন?

এই পোষ্টটি পড়ার আগে যারা জানেন না তারা জেনে নিন কনডম কি? নিরাপদ, জন্মনিয়ন্ত্রন এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য কনডম ব্যবহৃত হয়।Sex বা শারীরীক মিলনে বীর্যস্থলনের পূর্বে যদি কনডম ফেঁটে যায় তাহলে সাথে সাথে মিলন বন্ধ করুন লিঙ্গ বের করে আনুন এবং নতুন একটি কনডম প্রতিস্থাপন করুন।

যদি দেখেন বীর্য পড়ে গেছে এবং তা যোনীমুখে দৃশ্যমান থাকে তাহলে সাবান এবং গরম পানির সাোয্যে জলদি ধুয়ে ফেলুন।কারণ গরম পানি দিয়ে ধুঁয়ে ফেললে শুক্রানু নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে যৌনাঙ্গের গভীরে বীর্য পড়লে সেক্ষেত্রে উপরোক্ত পদ্ধতিতে লাভ হয়না। 

কারণ শুধু ধুঁয়ে কখনো শুক্রানু দুর করা যায় না।
এইডসসহ যেকোন প্রকার সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজের (এস টি ডি) উপস্থিতি পরীক্ষা করান। 


বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এস টি ডি এর প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে ফুসকুড়ি, ফোলা গ্রন্থি, জ্বর, ফ্লু, ব্যাথা এবং লিঙ্গ কিংবা যোনী থেকে আঠালো তরল নির্গত হওয়া দেখা যেতে পারে।

যার সাথে মিলনকালে কনডম ফেটেছে তিনি যদি এইইচ আই ভি পজেটিভ থাকেন তাহলে ৬ সপ্তাহ, ৩ মাস এবং ৬ মাস পর পুনরায় পরীক্ষা করে দেখুন আপনার মাঝে সংক্রমন হয়েছে কিনা।


কনডম ফেটে যাওয়ার পর আর ধাক্কা দিবেন না। ফাটা কনডমসহ ধাক্কা দিলে সংক্রামক জীবাণু জরায়ুর গভীরতায় চলে যেতে পারে। একই কারণে যোনীর ঝিল্লি/পর্দায় জ্বালাপোড়া করতে পারে যা রোগ সংক্রমণ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

কি কারণে মেয়েরা সেক্স করে?


কি কারণে মেয়েরা সেক্স করে? প্রশ্নটা শুনে প্রশ্নকর্তার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দেহহওয়া স্বাভাবিক। যৌনক্রিয়ার যে কারণগুলোস্বাভাবিক বলে পরিগণিত হয় সেগুলোহচ্ছে ভালবাসা/রোমান্সের প্রভাবে আবেগতাড়িতহয়ে, আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে, সন্তানলাভেরআশায় ইত্যাদি।কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরোঅনেক বিচিত্র্য উদ্দেশ্যে মানুষ যৌনক্রিয়ায়লিপ্ত হয়।লক্ষ্যণীয়ভাবে, নারীদের যৌনক্রিয়ার কারণগুলো পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশিবৈচিত্র্যময়।

১. আনন্দলাভের জন্য: অবভিয়াস! কিন্তু গবেষণার ফলাফল “মেয়েদের যৌনতা ভালবাসাতাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত”, পশ্চিমা সমাজে প্রচলিত এই মিথকে উড়িয়েদেয়। অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক নারীর কোন ধরণের রোমান্টিক রিলেশনশিপ না থাকা অবস্থায় শুধুইন্দ্রিয় সুখের জন্য সেক্স করতে আপত্তি নেই, বরং আগ্রহী। তবে কারো সাথে রোমান্টিক রিলেশনথাকা অবস্থায় ইন্দ্রিয় সুখের জন্য অন্য কারো সাথে সেক্স করার ব্যাপারে প্রায় ৮০ শতাংস নারীর ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গেল অবস্থায় রোমান্স বিহীন সেক্সে অনেকেই আগ্রহী হলেওপার্টনারের সাথে চিটিং কে তারা সমর্থন করেন না।


২. রোমান্স: এটাও অবভিয়াস। প্রেমে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে প্রেমলীলায় মত্ত হয়নি এরকমজুটি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।



৩. পার্টনারকে ধরে রাখার জন্য: অনেক সময়ই নিজের আবেগের চেয়ে বড় হয়ে দাড়ায় পার্টনারকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। পার্টনারের আবেদনে সাড়া না দিলে সে ছেড়ে চলে যেতে পারে, এইধারণা থেকে অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাড়া দেয় (আমরা পুরুষেরাও কি তা করি না?)



৪. অন্যের প্রেমিককে ছিনিয়ে আনার জন্য: অনেকে অন্য নারীর সাথে প্রকাশ্যরোমান্টিক সম্পর্কথাকা সত্ত্বেও পুরুষদের আবেদনে সাড়া দেয় এই উদ্দেশ্যে যে পুরুষটি তার ‘পারফরমেন্সে সন্তুষ্টহয়ে’ বা অন্য কোন কারণে তার রোমান্টিক পার্টনারকে ত্যাগ করে নতুন নারীকে স্বীকৃতি দিবে।




৫. দায়িত্ববোধ হতে: অনেক নারীই তাদের সঙ্গীদের সকল ধরণের যৌন চাহিদামেটানো দায়িত্ববলে মনে করে। সেক্ষেত্রে আবেগতাড়িত না হয়েও বা পার্টনার চলে যাওয়ার সম্ভাবণা না থাকাসত্ত্বেও সে দায়িত্ববোধ থেকে সাড়া দেয়। (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এইটা ছেলেরাওকরে থাকে)



৬. গৃহস্থলি কাজের বিনিময়ে: অনেক বদ টাইপের পুরুষরা নাকি সেক্স না করলে বাজার করুমনা, ঘর রং করুম না, গৃহস্থালী আবর্জনা ফেলুম না এইসব বলেপার্টনারদের ব্লাকমেইল করে।



৭. করুণা করে: মানসিকভাবে ভেঙে পড়া কোন পরিচিতজনকে সান্তনা দেয়ার জন্যও নাকিমহীয়সীরা সেক্স করে থাকে।




৮. বদ মতলবে: পদোন্নতির জন্য, টাকার জন্য, উপহার পাওয়ার লোভে,পার্টনারের ওপর কোনকারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গোপন প্রতিশোধ হিসেবে, কোন শত্রুতার কারণে এস. টি. ডি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে।


৯. ব্রেক-আপের জন্য: অনেকে পার্টনারের ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও জোড়-জবরদস্তি করে সেক্স করারজন্য, যেন পার্টনার বিরক্ত হয়ে ব্রেক-আপ করে



১০. মেডিক্যাল সেক্স: মাথা ব্যাথা সহ আরো অনেক শারিরীক সমস্যার চিকিৎসা হিসেবেও নাকি অনেকে সেক্স করে থাকে।

কখন সহবাস করলে নারীদের বাচ্চা হয়?

বাচ্চা ধারণের জন্য নারীদের ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স সবচেয়ে নিরাপদ ও উপযুক্ত। এর নিচে ও ওপরে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। গর্ভধারণের ঠিক সময়টা নির্ভর করে নারীর মাসিক ঋতুচক্রের ওপর। 

যদি মাসিক নিয়মিত হয়, তবে পরবর্তী মাসিক শুরুর অন্তত ১০ থেকে ১৬ দিন আগে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হওয়ার কথা এবং এই সময়টুকু হচ্ছে সবচেয়ে উর্বর।

মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৪ দিনের মাথায়) লুটিনাইজিং হরমোন (LH) ক্ষরণের ৩৬-৩৮ ঘন্টার মধ্যে ডিম্বকোষ (Ovum) নির্গত হয়। এই বেরুনর পর ডিম্বকোষ যদি ৩৬ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত সংখ্যক শুক্রকোষ পায় তবে তার একটির সাথে মিলিত হয়ে বাচ্চা দিতে পারে। 

তবে ডিম্বকোষটি জীবিত থাকে আরো প্রায় ৩৬ ঘন্টা অর্থাৎ ডিম্বকোষের আয়ু সর্বমোট ৭২ ঘন্টা বা তিনদিন। অন্যদিকে যৌনমিলনের পর জরায়ু তথা ডিম্বনালীতে প্রবেশের পর শুক্রকোষও (spermatorza) জীবিত থাকতে পারে সর্বাধিক ৭২ ঘন্টা। 

তাই ২৮ দিনের মাসিক ঋতুচক্রের মাঝামাঝি মোট প্রায় ১২০ ঘন্টা (৫দিন) হচ্ছে উর্বর সময়,–এই সময় যৌনমিলন হলে বাচ্চার জন্ম হতে পারে। মোটামুটি মাসিকের ১৪ দিনের মাথায় ডিম্বকোষ হচ্ছে ধরে নিয়ে তার ২-৩ দিন আগে ও ২-৩ দিন পরে হচ্ছে এই উর্বর সময়। তবে যারা বাচ্চা নিতে চান না, তাদের এটিও জেনে রাখা দরকার যে, এই ডিম্বকোষের নির্গমনের (ovalution) দিনটি প্রচণ্ড পালটায়। 

তাই এর সঙ্গে আগে ও পরে আরো দু’একদিন যোগ করা ভাল। তবু মাসিক ঋতুচক্রের ৯ম দিনের আগের ও ২০শ দিনের পরেকার সময়কে মোটামুটি নিরাপদ সময় বলে ধরা যায়। এই সময় যৌনমিলন ঘটলে তার থেকে বাচ্চা ধারণের তথা গর্ভবতী হওয়ার সম্বাবনা থাকে না, কারণ এই সময় ডিম্বকোষ বেরোয়ই না। 

কিন্তু বিরল হলেও এটিও দেখা গেছে যে, মাসিক চক্রের যে কোনওদিন (তথাকথিত ঐ নিরাপদ সময়ের দিনগুলিসহ) মাত্র একবারের যৌনমিলনেও নারী গর্ভবতী হতে পারে অর্থাৎ বিরল ক্ষেত্রের মাসিক চক্রের যে কোন সময়ই ডিম্বকোষ বেরুতে পারে।

 তাই এই হিসাবে তথাকথিত নিরাপদ সময় বলে কিছু নেই। তবে এটি নেহাৎই ব্যতিক্রম। সাধারণভাবে ৯ম দিনের আগে ও ২০শ দিনের পরের সময়টি নিরাপদ সময় এবং ৯ম-২০শ দিনের মধ্যকার সময়টিকে উর্বর সময় হিসাবে ধরা যায়, আর এর মধ্যেও দ্বাদশ থেকে ষোড়শ (মতান্তরে ১৩ম থেকে ১৭ম) দিনটি উর্বরতম সময়।

যে ১০টি স্থানে সেক্স করা বিপদজনক


স্বামী স্ত্রীর পবিত্র মিলন সবসময় সুখকর হয়, তবে এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সেক্স করলে তা ক্ষতি হতে পারে। পোস্টটি অনেকেই খারাপ মনে করতে পারেন, তবে সুদৃষ্টি বিচারে দেখলে  বিশেষ কিছু শিক্ষা অর্জন অবশ্যই করবেন।

 আজ এমন একটি আর্টিকেল আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছে যেটার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে কোথায় কোথায় সেক্সে ঝুঁকি আছে।চলুন আর্টিকেলটির বিস্তারিত জানি।

প্রতি বছর একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ গড়ে ১০০-১১৫ বার যৌন মিলন (sex) করে এবং সারাবিশ্বে প্রতি দিন ২৪০ মিলিয়ন মানুষ যৌন মিলন (sex) করে। একজন লোকের তার লাইফে গড়ে ৫১০০ বার সেক্স করে। এর মধ্যে ৩৩% লোকই সেক্সের সময় ইঞ্জুরড হয়। নিম্নে সেক্স ইঞ্জুরির মধ্যে কমন ১০টি ইঞ্জুরি তুলে ধরা হলোঃ

১. সোফা: বিশেষ করে সিল্ক কাপড়ের সোফাগুলো সেক্সের জন্য খুবই বিপদজ্জনক।

২. সিড়ি: অতিরিক্ত উত্তেজনায় অনেকে সিড়িতেই যৌন মিলন (sex)  শুরু করে দেন। যেকোন সময় পা পিছলে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৩. গাড়ী: কখনই গাড়িতে বসে সেক্স করবেন না। যদি একান্তই করতে হয় তাহলে পিছনের সিটে করুন। পিছনের সিট কিছুটা নিরাপদ।

৪. শাওয়ার: অনেক বাড়ীতে শাওয়ারের দেয়াল কাচের দেয়াল থাকে। সেখানে যৌন মিলন করলে সেক্সের সময় কাচ ভেঙ্গে যেতে পারে।

৫. বিছানার সাইড: অনেকে সেক্সের সময় বিছানায় সাইডে চলে আসে। এতে যেকোন সময় বিছানা থেকে পরে যেতে পারেন। তাই সবসময় বিছানার মধ্যে sex করুন।

৬. চেয়ার: অনেকে চেয়ারে বসে সেক্স করতে পছন্দ করে। এটা ভাঙ্গার সম্ভবনা থাকে।

৭. রান্নাঘরের টেবিল: অনেকেই টেবিলে যৌন মিলন (sex) করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে টেবিল ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকে।

৮. গার্ডে: গার্ডেনে সেক্স করবেন না কারণ এর ফলে আপনাদের যৌনকর্ম অন্যের নজরে চলে আসতে পারে।

৯. টয়লেটের কমোড: অনেকে এটাতে বসে সেক্স করে। আপ-ডাউনে যেকোন সময় আপনার এ্যাস কমোডের ভিতরে ঢুকে যেতে পারে।

১০. আলমারী: অনেকে আলমারীতে হেলান দিয়ে  যৌন মিলন (sex) করে। এটা যেকোন সময় হেলে পরে যেতে পারে।

ছেলেদের সেক্স বেশী থাকে কোথায়…?

যে যে জায়গায় ছেলেদের সেক্স বেশি থাকে


১. চুল ও চুলের গোড়ার ত্বকঃ
প্রথমেই এই হেডিং পড়ে আমাকে সবাই পাগল ঠাউরাতে পারেন; বিশেষ করে ছেলেরা বলতে পারে, আরে ধুর! চুল আবার ছেলেদের সেক্সী পয়েন্ট হল কবে থেকে! কিন্ত হ্যা, ছেলেদের চুল ও এর গোড়ার ত্বক তাদের অন্যতম একটা স্পর্শকাতর (সেক্সী ) অংশ। তবে এর জন্য প্রয়োজন বিপরীত লিঙ্গের স্পর্শ। ছেলেদের ঘন চুল মেয়েদের কাছে সরাসরি যদি নাও হয়, অবচেতন মনে বেশ আকর্ষনীয় (যাদের মাথায় টাক তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)। 



২. কানঃ
কান ছেলেদের একটি সেক্স ন। কান ও কানের আশেপাশের অংশগুলোতে রয়েছে বহু স্নায়ুপ্রান্ত। মেয়েরা তাদের তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ছেলেদের কানের মূল অংশ ও লতিতে আস্তে আস্তে বুলিয়ে দিতে পারে। ঠোট ও জিহবা দিয়ে কানের লতিতে, কানের পেছনের অংশে স্পর্শ করা, লতিতে হাল্কা করে কামড় দেয়া ছেলেদের জন্য বেশ Arousing. 

৩. ঠোট ও জিহবাঃ
শুধু মেয়েদের ঠোটই নয় ছেলেদের ঠোটও তাদের দেহের অত্যন্ত যৌনসংবেদী একটি অঙ্গ। এর সংবেদনশীলতা মেয়েদের ঠোটের মতই। একটি ছেলের ঠোটে একটি মেয়ের স্পর্শ শুধুই তাকে যৌনত্তেজিত করে তোলে না বরং মেয়েটির কাছাকাছি থাকার এক অপূর্ব অনুভুতি জাগিয়ে তোলে। ঠোটের মাধ্যমে মেয়েটি তার সঙ্গী তাকে যে ভালোবাসার অনুভুতি দান করছে ঠিক একইভাবে তার প্রতিদান দিতে পারে। 

৪. গলাঃ
মেয়েদের মতই ছেলেদের গলাও অত্যন্ত স্পর্শকাতর (ছেলে ও মেয়ে দেহের যৌনস্পর্শকাতর অঙ্গ গুলো কি কি?)। Sexual Reflexology বইটির লেখক Master Mantak Chia বলেছেন, ‘ছেলেদের গলার Adam’s Apple (ছেলেদের গলার ফোলা অংশটি) এর নিচের অংশটি দেহের বহু স্পর্শকাতর অরগানিজমের (অর্গাজম নয়, অর্গানিজম। যার অর্থ ইন্দ্রিয়) সাথে সম্পৃক্ত।’ তাই এখানে চুমু খাওয়া, জিহবা বুলিয়ে দেওয়া ও চুষা ছেলেটির জন্য দারুন Turn on. বিশেষ করে তার ঠোটে চুমু খাওয়ার পর। জোরে জোরে ছেলেটির গলায় চুমু খাওয়া, কামড় দেয়া ও চুষা তার জন্য বেশ উত্তেজনাকর হতে পারে।
৫. বুক (Chest) ও নিপলসঃ
ছেলেদের বলিষ্ঠ ও পেশীবহুল বুক তাদের পুরুষত্বের প্রতীক। এটি বেশ স্পর্শকাতরও বটে। এই স্থানে মেয়েদের নরম হাতের স্পর্শ তাদের জন্য অসাধারন Turn On. এখানে চুমু খাওয়া, জিহবা বুলানো, কামড়ানো ছেলেদের দারুন এক অনুভুতি সৃষ্টি করে। প্রথমে হাল্কাভাবে শুরু করে তারপর একটু Roughly করার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ছেলে এখানে মেয়েদের হাল্কা আদর আর অনেকে উগ্র আদর পছন্দ করে। এটা মেয়েটিকে তার সঙ্গীর প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝে নিতে হবে।



৬. হাটুঃ
ছেলেদের হাটু সেক্সের কামনা জাগিয়ে তোলায় ও মৈথুনের সময় সুখবৃদ্ধির জন্য বেশ কিছুটা ভুমিকা রাখে। কিভাবে ছেলে মেয়ে উভয়ের হাটুতে পা বুলিয়ে Footsie করে আনন্দ পেতে পারে তা তো আগের পোস্টেই বলেছি। এ বিষয়ে তাই আর বেশি কিছু বললাম না। যখন সেক্সে মৈথুনের সময় ছেলেটি শুয়ে থাকবে ও মেয়েটি তার উপরে উলটো দিকে মুখ করে বসে থেকে উপরনিচ করবে (অর্থাৎ যে কাউগার্ল সেক্স পজিশনে ছেলেটি মেয়েটির শুধু পিঠ দেখতে পাবে ও মেয়েটির সামনে ছেলেটির পা থাকে) তখন মেয়েটি মৈথুন করতে করতে ঝুকে দুই হাত দিয়ে ছেলেটির হাটুতে হাত বুলিয়ে দিতে পারে।


৭. পিঠ ও কাধ (Shoulder):
অনেক ছেলে নিজেই জানে না তাদের পিঠ ও কাধ কতটা যৌনস্পর্শকাতর স্থান। পিঠের কোন কোন স্থানগুলো বেশি স্পর্শকাতর সেগুলো বিভিন্ন ছেলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। ছেলেটির সঙ্গিনী তার সেক্সের পূর্বে এমনকি ওরা ঘুমাতে শুয়েছে এমনসময়ও ওর পিঠে নিজের হাত বুলিয়ে বুলিয়ে সে স্থানগুলো আবিস্কার করতে পারে। ছেলেটি যদি কাজ থেকে ফিরে অত্যন্ত ক্লান্ত থাকে অথবা একবার সেক্স করার পর ক্লান্তিতে এলিয়ে পড়ে অথচ তার সঙ্গিনীর যৌন আকাঙ্খা অপুর্ন থাকে তবে মেয়েটি ওকে উজ্জীবিত করে তোলার জন্য একটি কাজ কর‌তে পারে। ছেলেটিকে উপুর করে বিছানায় শুইয়ে তার নিতম্বের উপরের অংশ থেকে একেবারে গলা পর্যন্ত হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ শুরু করতে হবে, তার গলা পর্যন্ত গিয়ে দুই হাত তার কাধে নিয়ে একটা চাপ দিয়ে আবার নিচে নিতম্বের উপর পর্যন্ত নামিয়ে আনতে হবে। এরকম করে তারপর মুখ নামিয়ে ওর পিঠে এমনভাবে চুমু খাওয়া শুরু করতে হবে যেন সেখানের একটি স্থানও অবহেলিত না থাকে। এরপর জিহবা বের করে নিতম্বের উপর থেকে বুলাতে বুলাতে গলায় উঠে এভাবে আদর করে, স্থানে স্থানে চুষে ও কামড় দিয়ে ছেলেটিকে উজ্জীবিত করে তোলা যায়। এই আদর সেক্সের মধ্যেও চলতে পারে। এছাড়াও ছেলেটি যখন খালি গায়ে কোথাও দাঁড়িয়ে আছে বা কিছু করছে (গুরুত্বপুর্ন কিছু নয়। এমনকিছু যেটায় ব্যঘাত ঘটলে কোন সমস্যা হবে না।), তখন তার পিছনে গিয়ে হঠাৎ করে তাকে জড়িয়ে ধরে তার ঘাড়ে চুমু খেতে থাকা, জিহবা বুলিয়ে দেয়া ওর জন্য অত্যন্ত Arousing ও Sexy.

৮. উরুঃ
মেয়েদের মতই ছেলেদের উরুও তাদের একটা বেশ স্পর্শকাতর স্থান, বিশেষ করে ভিতরের দিকের অংশটি। কিন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ছেলেদের এই স্থানটা বেশিরভাগ মেয়েদের দ্বারাই অবহেলিত হয়। ওরা মূলত এর নিকটবর্তী আইফেল টাওয়ারের দিকেই বেশি মনোযোগী হয়। কিন্ত মেয়েটি যখন এই স্থানটিতে হাত বুলায়, চাপ দেয়, চুমু দেয়, কামড় দেয়, জিহবা দিয়ে আদর করে তখন ছেলেটি তার লিঙ্গে মেয়েটির এ আদর পাওয়ার জন্য পাগলের মত হয়ে যায়। কিন্ত ওর কথা না শুনে ওকে এভাবে tease করে তাকে উত্তেজনায় উম্মাদের মত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায়।

৯. নিতম্বঃ
মেয়েদের মত ছেলেদের নিতম্বও তাদের বেশ স্পর্শকাতর একটি স্থান। মুলত এখানে মেয়েদের হাতের জোর চাপ ও চাপর, নখের আচড় এগুলো ছেলেটিকে বেশ উত্তেজিত করে তুলে। বিশেষ করে কিস করার সময় ছেলেটিও যখন মেয়েটির নিতম্বে হাত বুলাতে থাকবে সেসময় ওর নিতম্বে এধরনের রুক্ষ আদর ছেলেটিকে বেশ উত্তেজিত করে।


১০. পেরিনিয়ামঃ
ছেলেদের অন্ডথলির নিচে ও পায়ুছিদ্রের মাঝের যেই ফাকা অংশটি রয়েছে সেটাই পেরিনিয়াম। ছেলেদের এই অঞ্চল মেয়েদের টার চেয়ে একটু বড় হয়। এই অংশ মেয়েদের চেয়েও ছেলেদের বেশি সংবেদী, কারন এই অংশটির নিচেই রয়েছে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড। লিঙ্গের হাত দেয়ার আগে এখানে হাত বুলানো ও চাপ দেয়া ছেলেটির জন্য দারুন Turn On.


১১. লিঙ্গঃ
ছেলেদের সবচাইতে যৌনত্তেজক স্থান। বেশিরভাগ মেয়েই Foreplay’র সময় হাত দিয়ে ছেলেটির লিঙ্গ ধরে খেলতে পছন্দ করে এবং তাতে ছেলেরাও যথেস্ট আনন্দ পায়। কিন্ত সেখানে মেয়েটির নরম ঠোটের স্পর্শ, মুখের ভিতরের উষ্ঞতা ছেলেটির সারা দেহ দিয়ে যে চরম সুখের অনুভুতি বইয়ে দেয় তা শুধু ছেলেরাই বলতে পারবে। এই ব্যাপারটিতেই বেশিরভাগ মেয়েরই একেবার ঘোর অনিহা। লেখার শেষাংশে এই বিষয়ে ও কি করে হাত দিয়ে ও মুখ দিয়ে কিভাবে ছেলেটির লিঙ্গে আদর করা যায় তা নিয়ে বলছি। তার আগে আলাদাভাবে লিঙ্গের বিভিন্ন অংশগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


ক) লিঙ্গের মাথাঃ ছেলেদের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর স্থান। এটাকে মেয়েদের ক্লাইটোরিসের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এটির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ুপ্রান্ত যার কারনে এটি অত্যন্ত সংবেদী। লিঙ্গের মূল অংশ থেকে এই মাথাটিকে আলাদা করেছে যে অংশটি সেখান থেকে এর সংবেদনশীলতা বাড়তে বাড়তে একেবারে ছিদ্রটির আশে পাশে গিয়ে সর্বোচ্চ। মেয়েদের ক্লাইটোরিসের মতই এটিকে নিয়ে খেলা করতে যাওয়ার সময় মেয়েদের একটু সতর্ক হতে হবে। এই স্থানে অতিরিক্ত চাপ বা আচমকা আক্রমনে এমনকি ছেলেটির শক্ত হয়ে যাওয়া লিঙ্গও সাময়িকভাবে নেতিয়ে পড়া শুরু হতে পারে।

সহবাস দীর্ঘস্থায়ী করার নতুন কৌশল


দীর্ঘস্থায়ী সহবাস নিয়ে গবেষণা, ভাবনার অন্ত নেই৷ কীভাবে, কখন, কতক্ষণ সহবাস  এবং দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করা যায় তা নিয়ে কত তর্ক বিতর্ক৷ কিন্তু এর মধ্যে থেকে বাদ যায় না সহবাসের ভঙ্গিমা তথা সেক্স পজিশন নিয়েও প্রচুর ডুজ অ্যান্ট ডোন্টস (পুরুষদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক সেক্স পজিশন)৷

 আর আপনি যদি একজন মহিলা হন, তাহলে পুরুষকে কতক্ষণ আপনি আপনার মোহতে বিছানায় ধরে রাখতে পারছেন, সেটাও কিন্তু আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সহবাসকে দীর্ঘস্থায়ী/ দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করতে এক্সপেরিমেন্ট করুন বিভিন্ন রকম ভঙ্গিমা নিয়ে৷সহবাসে ( Sex )পুরুষের স্থায়ীত্ব কত মিনিট হওয়া দরকার ? জেনে নিন


সহবাস দীর্ঘস্থায়ী করার নতুন কৌশল
১) ল্যাপ ডান্স পজিশন- প্রথমে আপনার পুরুষ সঙ্গীটির মুখোমুখি বসুন, যতটা সম্ভব তাঁর কোল ঘেঁষে৷ তারপর আস্তে আস্তে তার দিকে একটু বেঁকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে পিছনে ফিরে বসুন৷ এতে বাড়বে আপনার সঙ্গীর উত্তেজনা৷আপনিও হয়ে উঠবেন যথেষ্ট বোল্ড, বাড়লে সহবাসের সময়ও।

২) ফেস টু ফেস-দুজনে দুজনের সামনাসামনি বসে মনঃসংযোগের চেষ্টা করুন৷ আই কন্ট্যাক্ট যতক্ষণ পারবেন ধরে রাখুন৷ দুজনেই ফোকাসড থাকবেন দেখবেন দীর্ঘস্থায়ী সহবাসের জন্য কতটা সফলতা পেয়েছেন।

৩) উইমেন অন টপ- সাধারণত দেশিও কামশাস্ত্রে পুরুষরাই উপরের দিকে থাকেন৷ তবে এবার একটু বদলে উইমেন অন টপ পজিশনটা ট্রাই করুন৷প্রথমটা অস্বস্তি লাগলেও আস্তে আস্তে কেটে যাবে নার্ভাসনেস৷ এমনকী চলে যাবে একঘেয়েমিও৷ উত্তেজনার পারদও থাকবে তুঙ্গে৷দীর্ঘস্থায়ী সহবাসেরজন্য চিরকাল মনে থাকবে সেই রাতটাও৷

৪) দ্য সফট রক-বিছানায় উল্টোদিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন৷ এবার আপনার দিকে মুখ করে আপনার সঙ্গীকে আপনার কাছাকাছি আসতে অনুরোধ করুন৷ বলাই বাহুল্য একই ভঙ্গিমায়৷ আস্তে আস্তে ওজনটাকে হাল্কা করে দুজনেই মনোনিবেশ করুন৷ সহবাস দীর্ঘক্ষণ/ দীর্ঘস্থায়ী সহবাস স্থায়ী হবে৷

এছাড়াও সঙ্গীকে চেয়ারে বসিয়ে আপনি ধীরে ধীরে তার কোল ঘেঁষে বসতে পারেন৷ ট্রাই করতে পারেন অভিনব সব ভঙ্গিমা৷ কীভাবে? উঁহু, সবটা আমরাই বলব! 

মাসিকের কত দিন আগে বা পরে কনডম ছাড়া সেক্স করা যায়?


পিরিওডের নিরাপদ সময় – পিরিওডের রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার দিন থেকে প্রথম সাত দিন ও শেষ সাত দিন সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে। তাই ওই সময়কে সেক্সের  নিরাপদ সময় হিসেবে ধরা হয়।

 তবে এই শর্ত কেবল সেইসকল নারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যাদের পিরিওড নিয়মিত ২৮ দিন (বা নিয়মিত ২৬ থেকে ৩১ দিন) অন্তর অন্তর হয়। এদের ক্ষেত্রে রজস্রাব শুরু হওয়ার দিনকে প্রথম দিন ধরে গুণতে থাকলে মোটামুটি ১২ থেকে ১৯ তম দিনে ডিম্বাণু নির্গমণ হয়। 

ডিম্বাণু ওভিউলেশনের পর প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা জীবিত থাকে এবং স্ত্রী জননতন্ত্রে বীর্যস্খলনের পর শুক্রাণু ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। তাই পিরিওডের সপ্তম থেকে ২১ তম দিন পর্যন্ত সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি। 

পিরিওডের বাকি দিনগুলো, প্রথম থেকে সপ্তম ও ২১ তম দিন থেকে পুনরায় রজস্রাব শুরু হওয়ার দিন পর্যন্ত সেক্সের নিরাপদ সময় হিসেবে গন্য করা হয়। মনে রাখবেন যে রক্তক্ষরণ শুরু হবার দিনকে প্রথম দিন ধরেই কিন্তু উপরোক্ত হিসেব দেওয়া হয়েছে। 

 তবে উল্লেখযোগ্য যে পিরিওডের কোন দিনই প্রকৃত নিরাপদ দিন নয়। উপরিউল্লিখিত নিরাপদ সময়ে সেক্স করলেও গর্ভধারণের স্বল্প হলেও কিছুটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। কাজেই অপর কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়, যেমন কন্ডোম বা পিল ব্যবহার করাই শ্রেয়। 

কারণ যাদের পিরিওড অনিয়মিত বা ২৮ দিনের থেকে অনেক কম তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু উপরোক্ত হিসেব প্রযোজ্য নয়। উপরন্তু যৌনরোগের সম্ভাবনা সব সময়েই থাকে। তাই ক্যাসুয়াল সেক্স বা বিবাহবহিঃর্ভুত সেক্স করার সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার এই পদ্ধতির উপর কখওনই নির্ভর করা উচিৎ নয়। 

এই পদ্ধতি শুধুমাত্র সেইসকল দম্পতিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যারা হয়তো এখওনই বাচ্চা-কাচ্চা চান না, কিন্তু নেহাৎ হয়ে গেলেও কোন অসুবিধা নেই।

দৈনিক ব্যবহারে ভালোভাবে ব্রেস্ট টাইট এবং নিখুঁত তৈরি করুন skin tightening

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদের নাম।  এই পাতাটি রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে। বহুগুণে গুণান্বিত এই উদ্ভিদের ভেষজ...